অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে রয়েছে নানা ক্ষতিকর দিক। মুঠোফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কি ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি সে সম্পর্কে আজ জানব।
দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা
যুক্তরাজ্যের চক্ষুবিজ্ঞানীরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মুঠোফোন অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্বে রেখে তা ব্যবহার করে। অনেকের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার। চোখের খুব কাছে রেখে অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে জিনগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা ক্ষীণদৃষ্টি সৃষ্টির জন্য ভুমিকা রাখতে সক্ষম।
কানে কম শোনা
মুঠোফোন ব্যবহারে কানের সমস্যা তৈরির বিষয়টি অভ্যাসের উপর নির্ভর করে। হেডফোন ব্যবহার করে দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দে গান শোনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর উপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে। এক সময় বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কমে যেতে পারে শুক্রাণু
গবেষকরা জানান, মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এছাড়াও শরীরের অন্য কোষকলা এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাবে ক্ষতির মুখ পড়তে পারে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূরুষের প্রজননতন্ত্রেও। গবেষকদের দাবি, মুঠোফোন থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর উপর প্রভাব ফেলে এবং কমিয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর সংখ্যা।
এছাড়াও ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি সহ নানা ধরণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে। মোবাইল ফোনের পরিমিত ও ভালো কাজে ব্যবহার আমাদের জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। তাই আমরা সকলে মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহারে সচেতন হব।
বাংলাদেশ একটি জনসংখ্যাবহুল দেশ। অত্যাধিক জনসংখ্যা আমাদের জন্য সমস্যা ও সম্ভাবনা দুটোই বয়ে নিয়ে এসেছে। এখন আমাদের সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। কেননা বিপুল পরিমাণের এ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণিত করতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসতে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না। আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষ বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী। এজন্য কিছু বহিরাগত শত্রু আমাদের মাঝে ঢুকে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে, উদীয়মান শক্তিকে ধব্ব্ংস করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কূটকৌশল অবলম্বন করছে। মাদক, অশ্লীল ও বেহায়াপনা সংস্কৃতি যেটা আমাদের সাথে খাপ খায়না সেটার প্রচলন ঘটিয়ে এদেশের উর্বর মস্তিষ্কগুলোকে ধবংস করার পায়তারা চলছে। ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে এখন পর্যন্ত অর্থপাচার অবিরামভাবে চলছে। যেটা আমাদের অর্থনীতির ভিতটাকে শক্তিশালী হতে দিচ্ছেনা। এজন্য আমাদের খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভাল-মন্দের তুলনা মূলক বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও মানুষ মাত্রেই ভুল। তবুও এমন ভুল করা যাবেনা যেটা আমাদেরকে ধবংস করে দেয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন