পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
বাংলাদেশ একটি জনসংখ্যাবহুল দেশ। অত্যাধিক জনসংখ্যা আমাদের জন্য সমস্যা ও সম্ভাবনা দুটোই বয়ে নিয়ে এসেছে। এখন আমাদের সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। কেননা বিপুল পরিমাণের এ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণিত করতে পারলে  দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসতে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না। আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষ বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী।  এজন্য কিছু বহিরাগত শত্রু আমাদের মাঝে ঢুকে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে,  উদীয়মান শক্তিকে ধব্ব্ংস করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কূটকৌশল অবলম্বন করছে।  মাদক, অশ্লীল ও বেহায়াপনা সংস্কৃতি যেটা আমাদের সাথে খাপ খায়না সেটার প্রচলন ঘটিয়ে এদেশের উর্বর মস্তিষ্কগুলোকে ধবংস করার পায়তারা চলছে। ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে এখন পর্যন্ত অর্থপাচার অবিরামভাবে চলছে। যেটা আমাদের অর্থনীতির ভিতটাকে শক্তিশালী হতে দিচ্ছেনা।  এজন্য আমাদের খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভাল-মন্দের তুলনা মূলক বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  যদিও মানুষ মাত্রেই ভুল। তবুও এমন ভুল করা যাবেনা যেটা আমাদেরকে ধবংস করে দেয়।  
চরিত্রের মাঝে লুকিয়ে থাকে আমাদের আসল সৌন্দর্য। নিজেকে কত রকম ভাবেই না সাজাতে ব্যস্ত থাকি। ক্রীম, পারফিউ এরকম কয়েক ডজন জিনিস লাগে নিজেকে সাজাতে। প্রয়োজন দামি পোষাক, ব্রান্ডের ঘড়ি, জুতা এবং সুন্দর হেয়ার স্টাইল। মুঠোফোন টাও হওয়া চাই 11pro মডেলের। এবং আরেকটু আপার লেভেলে থাকলে দামি বাইক এবং কারের প্রয়োজন। প্রয়োজন বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট। আমরা নিজেকে যত পরিপাটি করে সাজাতে চাই এর সবকিছু কিন্তু বাহ্যিক বিষয়। যেটার মুল্য অতি তুচ্ছ এবং যার কোন প্রকৃত সৌন্দর্য নেই। এবং এর পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে৷ কিন্তু, আমাদের অভ্যন্তরীণ যে সৌন্দর্য থাকে সেটাকে সুন্দর করার চেষ্টা করা উচিত। আমাদের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য হলো আমাদের চরিত্র‍। চরিত্র সুন্দর করার জন্য আমাদের টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ কোন কিছুর প্রয়োজন হয়না। শুধু প্রয়োজন আমাদের সদিচ্ছার। তাই প্রতিযোগিতা হোক প্রকৃত সৌন্দর্য নিয়ে।
স্বশিক্ষা কার্যক্রম আমাদের দেশে এখন স্বশিক্ষা কার্যক্রম চালু করা দরকার। এজন্য শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সেইসাথে সহযোগিতা প্রয়োজন টেলিকম অপারেটরদের। কেননা, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে আমাদের নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাতে। জানি রাতারাতি বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ৩-৪ মাসের প্রচেষ্টাও কম নহে। ৩-৪ মাসে সব মহলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় রাঙিয়ে দেওয়া সম্ভব স্বশিক্ষা কার্যক্রম। ২০২১ সালকে লক্ষ্য করে "ডিজিটাল বাংলাদেশ" স্বপ্নের যে অগ্রযাত্রা সেটা এখন বাস্তবের দ্বারপ্রান্তে। আগে যেটা স্বপ্ন মনে হত এখন সেটা সত্যি। তাই আমি মনে করি, বাংলাদেশে স্বশিক্ষা কার্যক্রম চালু করা খুবই সম্ভবপর একটা বিষয়।
চাইলেই কিছু করা সম্ভব প্রত্যেকের কিছু স্বপ্ন থাকে। আমিও এর ব্যতিক্রমী নই। হাজারো স্বপ্নের মধ্যে আমি বেঁচে আছি। জীবনে কি করতে চাই বা হতে চাই এটা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। কিন্তু কখনো নির্ভুল উত্তর পাইনি। তবে আমি জানি আমার ভালোলাগা এবং ভালোবাসার বিষয়টি। কিন্তু, চাইলেই আমি সবকিছু পেতে পারিনা। প্রত্যেকের মাঝে হয়তো কিছু অপূর্ণতা রয়ে যায়। কিন্তু সেই অপুর্ণতার কথা ভেবে আমাদের হতাশ হওয়া উচিত নয়। হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েছি বলে টাকা উপার্জন আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবাই বিখ্যাত হয়ে যাবে এমন কিন্তু না। তবে চেষ্টা করাতে কোন দোষ নেই। জীবন চলে যাবে তার প্রকৃতির নিয়মের কিন্তু আমরা চাইলেই একে রঙিন করে গড়ে তুলতে পারি।